বিপরীত করণীতে
অশ্বিনীমুদ্রা
পদ্ধতি : প্রথমে মাটিতে দুপা সোজা রেখে মেরুদন্ড সোজা করে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। দুহাত শরীরের দুপাশে রাখুন। এবার দুহাঁটু ভাঁজ করে পেটের কাছে নিয়ে এসে দুপা সোজা রেখে ধীরে ধীরে ওপরে তুলুন।
দুহাতের তালু দিয়ে নিতম্ব ধরে ঠেস দিয়ে রাখুন (ছবির মতো)। থুতনি গলার সাথে লেগে থাকবে। দম স্বাভাবিক থাকবে। এভাবে না পারলে দেয়ালে পা রেখে দুহাত দিয়ে (ছবির মতো) নিতম্ব ঠেস দিয়েও করতে পারেন, তাতেও ফল হবে।
পরে অভ্যস্ত হলে এমনিতেই পারবেন। দেহকে এ ভঙ্গিমায় রেখে বার বার মলদ্বার সংকুচিত ও প্রসারিত করুন। এভাবে ১ বার সংকুচিত ও ১ বার প্রসারিত করাকে ১ মাত্রা বলে। এভাবে ১০ থেকে ২৫ মাত্রা করতে পারেন। এসময় দম স্বাভাবিক থাকবে।
উপকারিতা
১.যারা বহুদিন ধরে অর্শরোগে ভুগছেন তারা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। মলদ্বারের ভেতরের শিরায় রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্শরোগ হতে পারে না এবং হলেও নিরাময় লাভ করবেন।
২.অশ্বিনীমুদ্রা নিয়মিত অভ্যেস করলে পায়খানার রাস্তায় কোনো প্রকার রোগ হতে পারে না।
৩.অশ্বিনীমুদ্রা করার ফলে মল-নালীর তন্তুর স্থিতিস্থাপকতা বজায় থাকে। যার ফলে ভবিষ্যতে মলদ্বার ঝুলে যাওয়ার আশংকা থাকে না।
৪.মেয়েদের বাধক বেদনা বা প্রলাপসড ইউটেরাস-এর জন্যে বিশেষ উপকারী। এ রোগ সারাতে সাহায্য করে।
৫.মুদ্রাটিতে থাইরয়েড, প্যারাথাইরয়েড, টনসিল, স্যালিভারি প্রভৃতি গ্রন্থির খুব ভালো কাজ হয়। দেহে সহজে কোনো রোগ হতে পারে না।
৬.কোষ্ঠকাঠিন্য, বদ হজম, এসিডিটি প্রভৃতি রোগ দূর করে পেট ও তলপেটের পেশী দৃঢ় করে; পেটের অপ্রয়োজনীয় চর্বি কমিয়ে দেহ সুস্থ করে।
0 Comments